bangladeshi news Media Things To Know Before You Buy

Wiki Article

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার মেয়াদের শেষের দিকটা বেশ বিতর্কে ঘেরা ছিল। মূলত যেভাবে তিনি কোভিড মহামারির সময়কালকে সামলেছেন, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছিল।

২০২৩ সাল পর্যন্ত, ট্রাম্প ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ওই বছরের মার্চে ম্যানহাটনের একটি গ্র্যান্ড জুরি জালিয়াতির ৩৪টি অভিযোগে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে। যার ফলে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন।[১০] তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।[১১][১২] ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করার পর তিনি ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন।[১৩][১৪]

ছবির ক্যাপশান, হোয়াইট হাউজের বারান্দায় মি. ট্রাম্প, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ছবি।

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কাকে কীভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা

ট্রাম্প পরিবারের কাছে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি তার বাবারই মালিকানাধীন সংস্থায় কোনও একটা ছোটখাটো কাজ করবেন বলে এককালে অনুমান করা হয়েছিল।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সফর বিতর্কে মোড়া ছিল। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোটে পরাজিত করেন তিনি।

আমেরিকার কংগ্রেসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব নিয়ে দুইটি প্রস্তাব জমা পড়েছে। ২০ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের মেয়াদ শেষেই আগে যাতে তাঁকে হটানো যায়, তার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। প্রথমত, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর আওতায় ক্যাবিনেটের কাছে যাতে এই প্রস্তাব তোলেন এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে ট্রাম্পকে সরাতে উদ্যোগী হন, তার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। [৭৯]

ছবির ক্যাপশান, প্রথম ইভানা জেলনিকোভার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারকার্য ২০১৬

তবে ওই ঘটনার দিনে তার কর্মকাণ্ড এখনও দুটো ফৌজদারি মামলার বিবেচনাধীন।

মুসলিম অভিবাসনের উপর ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের ই-পেটিশ্যান ওয়েবসাইটে "ব্লক ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ফ্রম ইউকে এন্ট্রি" নামের একটি পেটিশ্যান খোলা হয়।[৭৫] ডিসেম্বর ১১ সকাল ৫ টার মধ্যেই স্বাক্ষর সংখ্যার সর্বোমোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৫,০০,০০০ এর চেয়েও বেশি।[৭৬]

To perspective this online video remember to empower JavaScript, and contemplate upgrading to an internet browser that supports HTML5 online video

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ‘বার্থরিজম’-এর সবচেয়ে সোচ্চার প্রবক্তাদের মধ্যে একজন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘বার্থরিজম’ তত্ত্ব খাড়া করে প্রশ্ন তুলেছিলেন বারাক ওবামা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কি না। তবে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্বীকার করেননি যে এই তত্ত্ব ‘অসত্য’ ছিল এবং তার জন্য কখনও ক্ষমা চাননি।

ট্রাম্প একমাত্র আধুনিক মার্কিন রাষ্ট্রপতি যিনি দায়িত্ব ছাড়ার সময় কর্মশক্তিকে ৩ মিলিয়ন লোক কমিয়ে দিয়েছিলেন।[১২৯][১৩৭] তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ঐকমত্য প্রত্যাখ্যান করেন।[১৩৮][১৩৯][১৪০][১৪১] তিনি নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণার বাজেট ৪০% কমিয়ে দেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ওবামা-যুগের নীতিগুলো বাতিল করেন।[১৪২] তিনি প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ হিসেবে এটি অনুমোদন করেনি।[১৪৩] তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেন।[১৪৪][১৪৫] তার আমলে প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্প্রসারণ ঘটলেও কয়লার ব্যবহার হ্রাস অব্যাহত থাকে।[১৪৬][১৪৭] তিনি ১০০টিরও বেশি ফেডারেল পরিবেশগত নিয়ম বাতিল করেন, যার মধ্যে রয়েছে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ, বায়ু ও জলদূষণ রোধ, এবং বিষাক্ত পদার্থের ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। তিনি প্রাণী সুরক্ষা ও ফেডারেল অবকাঠামো প্রকল্পের পরিবেশগত মান দুর্বল করেন, পাশাপাশি ড্রিলিং ও সম্পদ উত্তোলনের জন্য অনুমোদিত অঞ্চল সম্প্রসারিত করেন, যেমন আর্কটিক অভয়ারণ্যে ড্রিলিংয়ের অনুমতি প্রদান।[১৪৮]

https://dailysabasbd.com/

Report this wiki page